মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০১:১১ অপরাহ্ন

জ্বর-সর্দিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম॥  নেত্রকোনা ও সিরাজগঞ্জে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও বৃদ্ধারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতার পাঠানো খবর:

নেত্রকোনা: শহর আর গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে জ্বর। ছোট-বড় বাদ নেই, এই জ্বর সবাইকে আক্রান্ত করছে। বাসার একজনের জ্বর হলে সঙ্গে সঙ্গে বাসাবাড়ির অন্যদেরও আক্রান্ত করছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এটা এক ধরনের ভাইরাস জ্বর। প্রচণ্ড গরম থেকে এটা হতে পারে। এছাড়া বাইরের কেউ আক্রান্ত হয়ে বাসায় আসলে তার থেকেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে। নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন জ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে লোকজন আসছে। তবে শিশুদের হার অনেক বেশি। হাসপাতালে রোগী ভর্তিও আছে। মঙ্গলবার নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে আউটডোরে ৯০ জন রোগীর দেখেছেন এমন একজন চিকিৎসক বলেন, এদের মধ্যে ৭০ জনই জ্বরে আক্রান্ত ছিল। এই রোগীদের মধ্যে শিশুর হার ছিল বেশি। এই জ্বরে সবাই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধরা। তারা কিছু খেতে পারছেন না। মুখ একেবারে তেতো হয়ে পড়ছে। খাবারের কোনো রুচি নেই। তবে কেউ কেউ করোনা টেস্ট করিয়েছেন, কিন্তু করোনা ধরা পড়েনি।

রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তন ও তীব্র গরমে এলাকায় সর্দি, জ্বর ও নানা উপসর্গ ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে অধিকাংশ পরিবারে শিশু ও বৃদ্ধসহ নানা বয়সি মানুষ সর্দি, কাশি ও বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। পেটের পীড়া নিয়েও জ্বরে ভুগছেন কেউ কেউ। বুধবার স্বাস্হ্যকমপ্লেক্স ও এলাকার ক্লিনিকগুলো ঘুরে দেখা গেছে সর্বত্র সর্দি জ্বরের রোগীর প্রচণ্ড ভিড়। উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সেনগাতী গ্রামের ফারুক আহম্মেদ জানান, তিনি ও তার দুই বছর বয়সী ছেলেসহ পরিবারের চার জন সদস্যের মধ্যে তিন জনই কয়েক দিন হলো তীব্র সর্দি, কাশি ও জ্বরে ভুগছেন। তার গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এক দুই জন করে জ্বরে ভুগছেন। একই ইউনিয়নের সিমলা গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে তিন জনই জ্বরে আক্রান্ত। আশপাশের বাড়িগুলোতেও জ্বরে ভুগছেন অনেকে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন, ধামাইনগর, সোনাখাড়া, ধুবিল, ঘুরকা, চান্দাইকোনা, ধানগড়া, নলকা, পাঙ্গাসী ও ব্রহ্মগাছার বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে এই মৌসুমী জ্বরের প্রকোপে ভুগছেন নানা বয়সী মানুষ। সরকারি হাসপাতালসহ এলাকার বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। উপজেলা স্বাস্হ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রহিমা আকতার শারমিন বলেন, গত এক সপ্তাহে আমরা সাড়ে ৭০০ সর্দি-জ্বরের রোগীর চিকিৎসা দিয়েছি। নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ স্বাস্হ্যকমপ্লেক্সে সর্দি, জ্বর ও ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি আছে ১৪ জন। সর্দি-জ্বরের রোগীর বিনামূল্যে কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com